অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : রংপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার সঙ্গে আওয়ামী লীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে সাবেক কাউন্সিলর হারাধন রায় হারা হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৪০০-৫০০ বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতাকে আসামি করে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন রংপুরের আন্দোলনের সমন্বয়করা।
গত ২ অক্টোবর মামলাটি রংপুরের কোতয়ালি থানায় দায়ের করা হলেও বিষয়টি শনিবার (১৯ অক্টোবর) জানাজানি হয়।
কোতয়ালী থানার ওসি আতাউর রহমান জানান, নিহতের স্ত্রী কনিকা রাণী বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। এতে অজ্ঞাতনামা ৪০০-৫০০ বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতাকে আসামি করা হয়েছে। তবে কারো নাম উল্লেখ করা হয়নি।
নিহত হারাধন রায় হারা রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। এ ছাড়াও তিনি রংপুর মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও মহানগর আওয়ামী লীগের পরশুরাম থানা কমিটির সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।
গত ৪ আগস্ট রংপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীর সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ওই দিন দুপুরে কাউন্সিলর হারাধন রায় হারা ও তার ভাগনে সবুজকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
এদিকে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রীর অভিযোগ আমলে নিয়ে মামলা নেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুরের সমন্বয়ক মাসুদ রানা বলেন, সরকার তো ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময়ের কোন ঘটনার জন্য ছাত্র জনতার নামে মামলা হবে না। তারপরও ছাত্র-জনতার মিছিলে প্রকাশ্য অস্ত্র হাতে নিয়ে গুলি করা চিহ্নিত সন্ত্রাসী হারা নিহতের ঘটনায় কেনো এই মামলা দায়ের করা হলো? পুলিশ এতো সাহস কিভাবে পেলো? আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। অবিলম্বে এই মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।অন্যথায় ছাত্র-জনতাকে সাথে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
বৈষম্যবিরোধীছাত্র আন্দোলন রংপুরের সমন্বয়ক ইমরান হোসেন ফেসবুক পোস্টে বলেন, যে পুলিশ সাধারণ মানুষের মামলা নেয় না। সেই পুলিশ অস্ত্র হাতে হত্যাকারী হারাধনের মামলা নেয় কিভাবে? এটাতো দুঃসাহস! পুলিশের রিফর্ম জরুরি।
Leave a Reply